You are currently viewing ঈমানদারের পরিচয়
ঈমানদারের পরিচয়

ঈমানদারের পরিচয়

ঈমানদারের পরিচয়

ঈমানের মোট ৭৭ টি শাখা রয়েছে। যার উপর আমল করার নাম পরিপূর্ন ঈমান। নিম্নে তা উল্লেখ করা হল।

  1.  আল্লাহর উপর পরিপূণ ঈমান আনা , আল্লাহ  চিরন্তন ও চিরস্থায়ী, তিনি ব্যতীত সবকিছু তাঁর মাখলূক, একথা পরিপূণ  বিশ্বাস করা।
    2.  ফেরেশতাদের প্রতি পরিপূর্ণ  ঈমান আনা।
    3.  আসমানী কিতাব সমূহের প্রতি পরিপূর্ণ ঈমান আনা।
    4.  আল্লাহর প্রেরিত পয়গম্বরদের প্রতি পরিপূর্ণ ঈমান আনা।
    5.  তাকদীরের ভালো মন্দের পরিপূর্ণ উপর ঈমান আনা।
    6.  কিয়ামতের উপর পরিপূর্ণ ঈমান আনা।
    7.  বেহেশতের উপর পরিপূর্ণ ঈমান আনা।
    8.  দোযখের উপর পরিপূর্ণ ঈমান আনা।
    9.   আল্লাহর সঙ্গে মহব্বত রাখা ,কারও সাথে আল্লাহর জন্যই মহব্বত রাখা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কারও সাথে দুশমনী রাখা।.
    10.  হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহি আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর সাথে মহব্বত রাখা।
    11.  এখলাস বা সব কিছু আল্লাহর উদ্দেশ্যেই করা।
    12.  তাওবা করা।
    13.  আল্লাহকে পরিপূর্ণ  ভয় করা।

    ঈমানদারের পরিচয়
    ঈমানদারের পরিচয়

    14.  আল্লাহর রহমতের আশা করা।
    15.  আল্লাহর রহমাত থেকে নিরাশ না হওয়া।
    16.  লজ্জা করা।
    17.  শোকর করা।
    18.  অঙ্গীকার রক্ষা করা।
    19.  ছবর বা ধৈর্য ধারণ করা।

    20.  বড়দের প্রতি বিনয় নম্রতা ও সম্মান করা।

    21.  ছোটদের প্রতি  স্নেহ মমতা ও জীবের প্রতি দয়া করা।
    22.  তাকদীরের উপর তথা আল্লাহর ফয়সালার উপর রাজী পরিপূর্ণ  থাকা।
    23.  তাকদীরের উপর তথা আল্লাহর ফয়সালার উপর রাজী পরিপূর্ণ থাকা।
    24. পরিপূর্ণ  তাওয়াক্কুল করা।
    25.  নিজেকে কখনো  বড় ও ভাল মনে না করা।
    26.  কারো প্রতি হিংসা না করা।
    27. কারো প্রতি  রাগ না করা।
    28.  কারও প্রতি অহিত চিন্তা না করা, কারও প্রতি কু-ধারণা না করা।
    29.  দুনিয়ার  সমস্ত মহব্বত ত্যাগ করা।
    30.  কালিমায়ে তায়্যিবাহ পড়া।
    31.  বেশি বেশি কুরআনে কারীম তিলাওয়াত করা।
    32.  ইলমে দ্বীন শিক্ষা করা।
    33.  ইলমে দ্বীন শিক্ষা দেয়া।
    34. বেশি বেশি  দ্আু বা আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা।
    35.  সবসময় পরিত্রতা হাসিল করা।
    36. সবসময়  নামাযের পাবন্দী করা।
    37.  সবসময় সদকা, যাকাত, ফিতরা, দান-খায়রাত, মেহমানদারী করা ইত্যাদি।
    38. রমজানের রোযা।
    39.  হজ্জ পালন করা।
    40.  রমজানের  এতেকাফ করা।
    41.  হিজরাত করা অর্থাৎ- দ্বীন ও ঈমান রক্ষার্থে দেশ-বাড়ি ত্যাগ করা।
    42.  কসম করলে তা পূরণ করা আর কসম ভঙ্গ করলে তার কাফ্ফারা দেয়া।
    43.  কোন কাফফারা থাকলে তা আদায় করা।
    44.  সতর ঢেকে রাখা।
    45.  কুরবানী করা।
    46.মৃত মানুষ এর জানাযা ও তার যাবতীয় আনুষঙ্গিক কজের ব্যবস্থা করা।
    46.  কারো ঋণ থাকলে পরিশোধ করা।
    47.  প্রত্যেকের সাথে লেন-দেন ও কায়-কারবার সততার সাথে এবং জায়েয তরীকায় মোতাবেক করা।

  2. 48.  সত্য সাক্ষ্য প্রদান করা। সত্য জানলে তা গোপন না করা।
    49.  উপযুক্ত সময় বিবাহের দ্বারা হারাম কাজ থেকে বিরত থাকা।
    50.  পরিবার-পরিজনের হক আদায় ও চাকর-বাকরদের সাথে সদ্ব্যবহার করা।
    51.  সব সময় মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করা।

    52.  নিজের ছেলে-মেয়েদের লালন-পালন ও সুশিক্ষার ব্যবস্থা করা।

    53. নিজের আত্মীয় স্বজনের সাথে সদ্ব্যবহার করতি।

  3. 54.  উপর ওয়ালার অনুগত হওয়া যেমন চাকরের প্রভূভক্ত হওয়া।
    55.  সকলের সাথে ন্যায় ও নিরপেক্ষভাবে বিচার করা।
    56.  মুসলমানদের জামাতের সাথে থাকা ও হক্কানী জামাতের সহযোগিতা করা, তাদের মত পথ ছেড়ে অন্যভাবে না চলা।
  4. 57.   শরীআতের বিরোধী না হলে শাসনকর্তাদের অনুসরণ করা।
    58.  লোকদের মধ্যে কোন ঝগড়া বিবাদ হলে তা মিটিয়ে দেয়া।
    59.  সৎ কাজে সাহায্য করা।
    60.  আমর বিল মারুফ ও নাহি আনিল মুনকার তথা সৎ কাজের আদেশ ও আসৎ কাজ হতে বাধাপ্রদান করা।
    61.  জিহাদ করা সীমান্ত রক্ষা করাও এর অন্তভূক্ত।
    62.  অভাবগ্রস্থদের কর্জ দেয়া।
    63.  হদ তথা শরীয়ত নির্ধারিত শাস্তি কায়েম করা।
    64.  আমানত আদায় করা। গনীমতের এক পঞ্চমাংশ বায়তুল মালে জমা করা এর অন্তর্ভূক্ত।
    65.  প্রতিবেশীদের হক আদায় করা ও তাদেরকে সম্মান করা।
    66.  লোকদের সাথে সদ্ব্যবহার করা।
    67.  অর্থের সদ্ব্যবহার করা।
    68.  সালামের জওয়াব দেয়া ও সালাম প্রদান করা।
    69.  যে হাঁচি দিয়ে আল হামদুলিল্লাহ পড়ে তাকে ইয়ারহামুকালাল্লাহ বলা ৭৪. পরের ক্ষতি না করা। কাউকে কোন রূপ কষ্ট না দেয়া।
    70.  খেল-তামাশা, ক্রীড়া-কৌতুক ও নাচ গান থেকে দুরে থাকা।
    71.   রাস্ত থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর কর। ঈমানদারের পরিচয়

সূত্র- আহকামে জিন্দেগী।

 আকীদা/বিশ্বাস সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা

মে’রাজ সম্বন্ধে আকীদাঃ

মে’রাজ সম্বন্ধে আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে যে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ তাআলা একদা রাত্রে জাগরিত অবস্থায় স্ব-শরীরে মক্কা শরীফ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত নিয়ে যান। সেখান থেকে সাত আসমানের উপর এবং সেখান থেকেও আরও উপরে যতদূর আল্লাহর উচ্ছা নিয়ে যান। সেখানে আল্লাহর সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কথাবার্তা বলেন। তখনই পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের বিধান দেয়া হয় এবং সেই রাতেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আবার দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন।

আরশ কুরছী সম্বন্ধে আকীদাঃ

আরশ অর্থ আসন বা চেয়ার। আল্লাহর যেমন শান ওয়ালা তাঁর আরশ এবং কুরছীও তেমনই শানের হয়ে থাকবে। সপ্তম আসমানের উপর আরশ ও কুরছী অবস্থিত। হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী আরশ কুরছী এত বিশাল যে, তা সমগ্র আকাশ ও জমিনকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে। এখানে উল্লেখ্য যে, আল্লাহ পাক কোন মাখলূকের ন্যায় উঠা-বসা করেন না এবং তিনি কোন নির্দিষ্ট স্থানে সীমাবদ্ধ নন। মাখলূকের কোন কার্যকালাপ ও আচার-আচরণের সাথে আল্লাহর কোন কার্যকালাপ ও আচার আচরণের তুলনা হয় না। তারপরও তার আরশ কুরছী থাকার কি অর্থ, তার অনুধাবণ করা মানব জ্ঞানের উর্ধ্বে। আমাদেরকে শুধু আরশ কুরছী সম্বন্ধে আকীদা বিশ্বাস রাখতে হবে।

আল্লাহর দীদার সম্বন্ধে আকীদাঃ

দুনিয়ায় থেকে জাগ্রত অবস্থায় এই চর্ম চক্ষুর দ্বারা কেউ মহান আল্লাহকে দেখতে পারেনি এবং পারবে না। তবে বেহেশতবাসীগণ বেহেশতে গিয়ে আল্লাহর দীদার বা দর্শন লাভ করবেন।

কিয়ামতের আলামত সম্বন্ধে আকীদাঃ

কুরআন ও হদীসে কিয়ামতের কিছু ছোট ও কিছু বড় আলামতের কথা বর্ণিত হয়েছে। ছোট আলামতগুলো কিয়ামত আসা নিকটবর্তী হয়ে গেলে ও দুনিয়ার ধ্বংস হওয়ার সময় নিকটবর্তী হয়ে গেলে প্রকাশ পাবে। আর বড় আলামত গুলো হযরত মাহদীর আবির্ভাবের পর থেকে শুরু হবে। ঈমানদারের পরিচয়ঈমানদারের পরিচয়

 

Leave a Reply