You are currently viewing কবর জিয়ারত সম্পর্কিত দোয়া ও নিয়ম
কবর জিয়ারত সম্পর্কিত দোয়া ও নিয়ম

কবর জিয়ারত সম্পর্কিত দোয়া ও নিয়ম

কবর জিয়ারত সম্পর্কিত দোয়া ও নিয়ম


👉
দলিল নং-০১ কবর জিয়ারত সম্পর্কিত হাদিস

কবর জিয়ারত সম্পর্কিত দোয়া ও নিয়ম
কবর জিয়ারত সম্পর্কিত দোয়া ও নিয়ম

মহানবী (সা.) বলেছেন : ‘আমি তোমাদের কবর জিয়ারত করতে বারণ করেছিলাম। কিন্তু আমাকে আমার মাতার কবর জিয়ারতের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তোমরা তোমাদের মৃত ব্যক্তির কবর জিয়ারত কর। কারণ কবর তোমাদের আখেরাতের কথা মনে করিয়ে দেয় ।

সহীহ মুসলিম। খন্ড নং-02 পৃষ্ঠা নং-366 হাদিছ নং-107 (কিতাবুল জানায়েয)

👉কবর জিয়ারতের দলিল নং-০২

ইব্রাহিম বিন মুহাম্মদ (রা) বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বছরের প্রারম্ভে ওহুদ যুদ্ধে শহীদদের সমাধি জেয়ারতে যেতেন এবং বলতেন:   السلام عليکم بما صبرتم فنعم عقبي الدار.

আপনাদের উপর সালাম! আপনারা আপনাদের ধৈর্যের ফলস্বরূপ আখেরাতে কি চমৎকার জায়গাই না পেয়েছেন। আবু বকর, উমর এবং ওসমান (রা) একই ভাবে জেয়ারতে যেতেন।

✔ {মুসতাদরাকে হাকিম,১ম খণ্ড,পৃ. ৫৩৩} {হাদীস নং-১৩৯৬} {মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক:খন্ড নং- ৩,পৃষ্ঠা নং- ৫৭৩}

👉কবর জিয়ারত সম্পর্কিত দোয়া ও নিয়ম দলিল নং-০৩

হযরত আয়েশা হতে বর্ণিত ,মহানবী (সা.) শেষ রাত্রে জান্নাতুল বাকীর কবরস্থানে গিয়ে এমনভাবে সালাম করতেন “আস্ সালামু আলা দারে কাওমি মুমিনীন”

সহীহ মুসলিম, ২য় খণ্ড,পৃ. ৩৬৩, {হাদীস নং- ১০২,কিতাবুল জানায়িয}

👉 কবর জিয়ারতের দলিল নং-০৪

তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ্ বর্ণিত,‘আমরা রাসুলের সাথে শহীদদের কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে মদীনা হতে রওনা হলাম। যখন আমরা ‘হাররে ওয়াকিম’ নামক স্থানে পৌঁছালাম কয়েকটি কবর লক্ষ্য করে বললাম : হে আল্লাহর নবী! এগুলো কি আমাদের মুসলিম ভাইদের কবর? নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বললেন : এ কবরগুলো আমার সাহাবীদের। যখন আমরা শহীদদের কবরের নিকট পৌঁছালাম . তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বললেন : এ কবরগুলো আমাদের ভ্রাতৃবর্গের।

সুনানে আবু দাউদ। ২য় খণ্ড,পৃ..২১৮, {হাদীস নং ৩৫৭,কিতাবুল মানাসিক,জিয়ারতে কবর অধ্যায়}

👉কবর জিয়ারতের দলিল নং-০৫

হযরত ফাতিমা (রা 🙂 কবর জিয়ারত হতে বর্ণিত : হাকিম নিশাপুরী সঠিক সনদ সূত্রে বর্ণনা করেছেন , যে হযরত ফাতিমা (রাঃ) মহানবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) জীবদ্দশায় প্রতি শুক্রবার হযরত হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিবের (ওহুদের যুদ্ধে শহীদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চাচার ) কবর জিয়ারতে যেতেন।

✔{মুসতাদরাকে হাকিম,১ম খণ্ড,পৃ. ৫৩৩} {হাদীস নং ১৩৯৬}

👉কবর জিয়ারতের দলিল নং-০৬

ইবনে আবি মালিকা (রা 🙂 হতে বর্ণিত তিনি বলেছেন : একদা হযরত আয়েশা (রা 🙂 কবরস্থানে প্রবেশ করলেন এবং আমি হযরত আয়েশা (রা 🙂 কে প্রশ্ন করলাম : কেন কবরস্থানে প্রবেশ করছেন ? হযরত আয়েশা (রা 🙂 বললেন : আমার ভাই আবদুর রহমানের কবর জিয়ারত করতে। আমি বললাম : মহানবী (সা.) কি কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেন নি? হযরত আয়েশা (রা 🙂 বললেন : নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম নিষেধ করেছিলেন,কিন্তু পরে অনুমতি দিয়েছেন।

✔{মুসতাদরাকে হাকিম,১ম খণ্ড,পৃ. ৫৩২} {হাদীস নং ১৩৯২}

👉কবর জিয়ারতের দলিল নং-০৭

হযরত আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, হযরত রাসূল মকবুল মায়ের কবর জিয়ারত করে কাঁদলেন এবং তাঁর সাথীগণকেও কাঁদালেন। অতঃপর বললেন, আমি আল্লাহপাকের দরবারে আমার মায়ের মাগফেরাতের দরখাস্ত করেছিলাম। আল্লাহপাক আমাকে উহার অনুমতি দিলেন না। জিয়ারত করার দরখাস্ত করলাম উহার অনুমতি পেলাম। ওহে ছাহাবাগণ! তোমরা কবর জিয়ারত করো কেননা তা তোমাদেরকে মরণের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

✔{মুসতাদরাকে হাকিম,১ম খণ্ড,পৃ. ৫৩১} {হাদীস নং ১৩৮৯} সহীহ মুসলিম। ১ম খন্ড।পৃষ্টা নং-৩১৪

প্রিয় পাঠক লক্ষ্য করুন মক্কা থেকে মদিনার দূরত্ব প্রায় ৫০০ কিলোমিটার।আর নবীজির সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আম্মাজানের কবর মক্কা মদিনার মধ্যেবর্তী স্থান আবওয়া নামক স্থানে অবস্থিত যা মদিনা থেকে প্রায় ২৫০ কিঃমিঃ দূরে।আর আমার দয়াল নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই ২৫০ কি.মি. পথ পাড়ি দিয়ে মায়ের কবর জিয়ারতে যেতেন।আর আমাদের দেশের শায়েখ নামের কিছু দাজ্জাল  ইসলামের দুশমন কারি ফতোয়া দেয় জিয়ারতের উদ্দেশ্য কোথায় যাওয়া জায়েয নেই। আল্লাহ আমাদের এসব দাজ্জাল ফেতনাবাজ থেকে হেফাজত করুক।আমিন

👉 কবর জিয়ারতের দলিল নং-০৮

اصاب الناس قحط في زمان عمر_ فجاء رجل الي قبر النبي صلعم فقال يارسول الله استسف لامتك فانهم قد هلكوا فاتي الرجل في المنام فقيل له ائت عمر فاقرئه السلام _ واخبره انكم مستقيمون

কবর জিয়ারতের দোয়া

হযরত ওমর ফারুক (রঃ) এর সময় একদা দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে মানুষের উপর দুর্ভিক্ষ পতিত হল । তখন এক সাহাবী হযরত বেলাল বিন হারেস (রঃ) . রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওযা মোবারকে এসে আবেদন করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার উম্মত ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে আপনি আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করুন । সাহাবী হযরত বেলাল বিন হারেস (রঃ) কে স্বপ্নযোগে দেখানো হল , হযরত ওমর রঃ কে গিয়ে সালাম বল এবং হযরত ওমর ফারুক (রঃ) বল যে তোমাদেরকে বৃষ্টি দান করা হবে । সুবহানাল্লাহ !

✔ আল মুসান্নাফ ,ইবনে আবি শায়বাহ । {খন্ড ১২ ,পৃঃ৩২ হাদিস নং ১২০৫১.} হযরত ইবনে হাজর আসকালানী রহঃ, ফতহুল বারী শরহে বুখারী , {খন্ড ২ পৃঃ ৪৯৫ ও ৪১২}

কবর জিয়ারত সম্পর্কিত দোয়া ও নিয়ম 

Leave a Reply