You are currently viewing শবে কদরের নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া
শবে কদরের নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া

শবে কদরের নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া

শবে কদরের নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া

নফল নামাজ :

শবে কদরের নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া
শবে কদরের নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া

ন্যূনতম বার রাকাত থেকে যতটা সম্ভব পড়া যেতে পারে। এ জন্য প্রচলিতভাবে সুন্নতের নিয়মে ‘দুই রাকাত নফল পড়ছি’ এ নিয়তে নামাজ আরম্ভ করে শেষ করতে হবে। সূরা ফাতেহার সাথে আপনার জানা যেকোনো সূরা মেলালেই চলবে। ৩৩ বার সূরা আল কদর, ৩৩ বার ইখলাস ইত্যাদি উল্লেখ করা আছে। তবে সে নিয়মে পড়লেও ঝামেলা কারণ নেই।

দলিল

👉 দলিল: হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ৪ রাকাত নামাজ ক্দরের রাতে আদায় করবে এবং উক্ত নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ২১ বার করে সূরা ইখলাছ পড়া , আল্লাহ তা’য়ালা ওই ব্যক্তিকে তাজা ভূমিষ্ঠ শিশুর ন্যায় নির্দোষ করে দেবেন এবং বেহেশতের মধ্যে এক মনোমুগ্ধকর মহল তৈরি করে দেবেন।

👉 দলিল: হাদিসে বর্ণিত রয়েছে, হযরত রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কদরের রজনীতে ৪ রাকাত নামাজ আদায় করবে এবং উহার প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা কদর ও সূরা ইখলাছ তিনবার করে পাঠ করবে, নামাজ শেষে সিজদায় গিয়ে নিম্নের দোয়াটি কিছু সময় পাঠ করে আল্লাহর দরবারে যা-ই প্রার্থনা করবে

দোয়াটি হলো : সুব্হানাল্লাহি ওয়ালহাম্দু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।

শবে কদরের নামাজের নিয়ম

নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়া’লা রাকআ’তাই ছালাতি লাইলাতিল ক্বাদরি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

শবে কদরের নামাজের তাসবিহ জিকির ও দোয়া : হাদিসে যে দোয়া ও জিকিরের অধিক ফজিলতের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো থেকে কয়েকটি নির্বাচিত করে অর্থ বুঝে বারবার পড়া যেতে পারে। ইস্তেগফার ও দরুদ আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। কমপক্ষে ১০০ বার ইস্তেগফার ও ১০০ বার দরুদ পড়া যেতে পারে।

এ রাতে নীরবে-নিভৃতে কিছুটা সময় আত্মসমালোচনা করুন, দেখবেন আপনি সঠিক পথ খুঁজে পাবেন। আত্মসমালোচনা আমাদের বিবেককে জাগিয়ে তুলে। আত্মসমালোচনা আত্মশুদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

কদর হলো বছরের সর্বোত্তম রাত

কদর হলো বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ রাত এবং এই রাতে পবিত্র আল কোরআন মাজিদ নাজিল হয়েছে। এই রাতে কোনো ভালো কাজ অন্য হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এই হাজার মাসকে যদি ১২ দিয়ে ভাগ করা হয় তাহলে হিসাব দাঁড়ায় ৮৩ বছরের চেয়ে কিছু বেশি। এই রাতে ইবাদত করার মর্যাদা সারাজীবন ইবাদত করার চেয়ে আরো অনেক বেশি। এটা এমন এক রাত যেখানে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত খোদার বিশেষ রহমত এবং শান্তি বর্ষিত হতে থাকে। এই রাতে ইবাদত-বন্দেগি করে আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফের জন্য প্রার্থনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এ কারণে মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে সওয়াব হাসিল ও গুনাহ মাফের রাত হিসেবে শবে কদরের ফজিলত অতুলনীয়।

                                                                                           শবে কদরের নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও দোয়া  আরো জানতে ডাউনলোড করুন

 

Leave a Reply