কবর জিয়ারতের নিয়ম ও দোয়া
কবর যিয়ারত করা পুরুষের জন্য সুন্নাতে মুয়াক্কাদ্দা.নিজের পিতা-মাতা,আত্মীয়-স্বজন,পীর-মুর্শিদ,মুমিন-মুসলমানদের নিকটে গিয়ে সালাম দিয়ে সুরা ফাতিয়াসহ কুরআন তিলাওয়াত ও দু’আ দুরুদ পাঠ করে তাদের তাদের রুহের উপর বখশিস করে দেয়া অত্যন্ত সওয়াবের কাজ.কবরে সিজদা করা বা অন্য শরিয়তের পরিপন্থী আচরণ করা হারাম। মৃত ব্যক্তির রূহে ছওয়াব রেশানির ফজিলত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- কেয়ামতের দিন মুমিনরা তাদের আমলনামায় পাহাড় দেখে বিস্মিত হবে। আর বলতে গেলে পৃথিবীতে আমরা এত কিছু করিনি, এই নেকিগুলো কোথা হতে এলো ? তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তর আসবে :মৃত্যুর পর তোমার ছেলে মেয়ে ক্ষমা চেয়েছে সদকা, দুআ দুরুদ তোমার জন্য, এটা তাই হয়. অন্য হাদিসে প্রতি শুক্রবার পিতা-মাতার কবর জিয়ারত করলে গুনাহ মাফ হয়ে যায়। মা-বাবার জন্য দোয়া করার সময় আল্লাহ নিজেই কোরআন শিখিয়েছেন ।
” রাব্বির হামহুমা কামা- রাববাইয়া-নী -ছ্বগী-রা-.”
অর্থ : “হে আমার প্রতিপালক! তাদের (পিতা-মাতা) উভয়ের প্রতি রহম করুন যেভাবে তারা আমাকে ছোটবেলায় লালন-পালন করেছেন। ”
অতএব সকলেরই ছেলে সন্তানকে দুআ’ করার উপযুক্ত বানিয়ে যাওয়া উচিত.আর ছেলে সন্তানেরও মাতা-পিতা এবং আত্মীয়-স্বজনের জন্য সওয়াব রেছানি করা উচিত.
পবিত্র অবস্থায় ওযু করার পর কবরের পশ্চিম পাশে কবরের সামনে দাঁড়িয়ে (ব্যতিক্রম ব্যতীত) কবরবাসীকে নিম্নোক্ত সালাম দিবে।
“আসসালা-মু আ’লাইকুম ইয়া- আহলাল ক্ববুরি মিনাল মুসলিমী-না ওয়াল মুসলিমা-তি ওয়াল মু’মিনী-না ওয়াল মু’মিনা-তি,আনতুম লানা-সালাফুন,ওয়া নাহনু লাকুম তাবাউন,ওয়া ইননা- ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা-হিকু-ন.”
অতঃপর সূরা ফাতিহা, তাকাশুর, কাফিরুন, ইখলাস, নাস, ফালাখ, আয়াতুল কুরসি, সূরা ইয়াসিন ও ইস্তেগফার, দুরূদ শরীফ ইত্যাদি পাঠ করবেন এবং সমস্ত আত্মাকে সওয়াব দেবেন।.কবরকে পিছনে রেখে কিবলামুখী হয়ে মুনাজাত করা ভালো.